স্টাফ রিপোর্টার :
আগৈলঝাড়া উপজেলা ছাত্রদল সদস্য সচিব রাতুল ইসলাম শাহেদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, মামলা বাণিজ্য এবং সাধারণ মানুষকে ভয়ভীতি প্রদর্শনের গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ১৮ এপ্রিল উপজেলা সদরের একটি বালুর টেন্ডার থেকে শাহেদ ও তার সহযোগী এসেন্ট রায় জোরপূর্বক ১ লাখ ১৩ হাজার টাকা আদায় করেন।
ঘটনার খবর পেয়ে বালুর কাজের দায়িত্বপ্রাপ্ত ঠিকাদার ও উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য মাইনুল এবং বাগধা ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য সচিব পিন্টু হাওলাদার ঘটনাস্থলে গিয়ে বিষয়টি যাচাই করেন। মাইনুল বারবার ফোন করেও ছাত্রদল নেতা শাহেদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে ব্যর্থ হন। একপর্যায়ে শাহেদ ফোন রিসিভ করে বলেন, “আমি এ কাজের সাথে জড়িত না,” এরপর তিনি ফোন বন্ধ করে দেন।
শুধু টেন্ডার কেন্দ্রিক অর্থ আদায় নয়, শাহেদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন দোকানদার ও অটোচালকদের কাছ থেকেও নিয়মিত চাঁদা আদায়ের অভিযোগ রয়েছে। মানিক আকন নামে এক অটোচালক জানান, “রমজান মাসে থানার সামনে আমাকে ডেকে শাহেদ বলেন—তুই ছাত্রলীগের নেতা মিন্টু সেরনিয়াবাতের গাড়ি চালাস, এখানে ছাত্রলীগের গাড়ি চলবে না। এরপর আমার কাছ থেকে ২৭ হাজার টাকা নেয়।” পরে কান্নাকাটি করে ২ হাজার টাকা ফেরত পেলেও বাকি টাকা আর ফেরত পাননি মানিক।
এমন ঘটনা জানাজানি হলে শাহেদ মানিককে ভয়ভীতি দেখিয়ে বিষয়টি ধামাচাপা দিতে চেষ্টা করেন। মানিক বলেন, “আমি সাধারণ মানুষ। পরিশ্রম করে সংসার চালাই। শাহেদ কোন অধিকারে আমার কাছ থেকে টাকা নেয়? আমি এর বিচার চাই।”
এছাড়াও অভিযোগ রয়েছে, ১৭ এপ্রিল স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক হাসান হাওলাদারের ভেকুর কাজ জোর করে বন্ধ করে দেন শাহেদ। পরে প্রতি আধা ঘণ্টার জন্য ১০০ টাকা ঘুষ নিয়ে কাজের অনুমতি দেন।
স্থানীয়রা আরও জানিয়েছেন, শাহেদ বিএনপির নাম ব্যবহার করে সাধারণ মানুষের নামে রাজনৈতিক মামলা করিয়ে পরবর্তীতে মোটা অংকের টাকা নিয়ে সেসব মামলা ‘মিমাংসা’ করে দেওয়ার ব্যবস্থাও করেন।
এই সব কর্মকাণ্ডে এলাকায় তীব্র অসন্তোষ ও আতঙ্ক বিরাজ করছে। সাধারণ জনগণ প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, এমন চাঁদাবাজ, স্বার্থান্বেষী ও জনবিরোধী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে দ্রুত তদন্ত করে দোষীদের আইনের আওতায় আনা হোক।