স্টাফ রিপোর্টার:
বাংলাদেশ থেকে স্বৈরাচারীর পতন হলেও বিভিন্ন স্থানে সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালাচ্ছে তার অঙ্গ সংগঠন যার মধ্যে অন্যতম সন্ত্রাসীদের গডফাদার মোঃ আনোয়ার হোসেন চিসতি (আনু), পিতা-মৃত: মোঃ ওয়াহিদ, মাতা মোসাম্মৎ মনোয়ারা বেগম যাহার জাতীয় পরিচয় পত্র নং ২৪০১৩৬৭৯৩৫, সাং বাসা নং-১৩০, কোর্টবাড়ী ফায়দাবাদ, থানা- দক্ষিণখান, ঢাকা।
তিনি এবং তার সন্ত্রাসী বাহিনীর নির্যাতন ও নিপীড়নে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন আব্দুল্লাহপুর বিসমিল্লাহ ফল আড়ৎ ব্যবসায়ীরা তারা গনমাধ্যম কর্মীদের জানান উক্ত ফল আড়ৎ ব্যবসায়ীরা সন্ত্রাসীদের গডফাদার মোঃ আনোয়ার হোসেন চিসতি ও তার সন্ত্রাসী বাহিনীর জন্য উক্ত স্থানে সুষ্ঠুভাবে ব্যবসা করতে পারছেন না।এমনকি তারা কোন কথাও বলতে পারছে না তার অমানবিক নির্যাতনের বিরুদ্ধে, তারা আরও বলেন যে, আমরা চাই আমাদের অধিকার ফিরে দেওয়া হোক, আমরা শান্তিতে ব্যবসা করতে চাই।
আমরা চাই না তার মত খারাপ মানুষ আর কখনো কোন প্রতিষ্ঠানে থাকুক। সন্ত্রাসী মোঃ আনোয়ার হোসেন চিশতির সন্ত্রাসী কার্যকলাপের অনুসন্ধানে গোপন সূত্রে জানা যায় সে ছাত্র-জনতা খুনের মামলার আসামি। তার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ রয়েছে বিভিন্ন থানায়।
ঢাকা মহানগর উত্তরার ১০ নং সেক্টর আব্দুল্লাহপুর সুইসগেইট সংলগ্ন বৃহত্তর উত্তরা বিসমিল্লাহ পাইকারি ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সমরাই সমিতি লিঃ যার রেজিঃ নং ০০৩৭৮ দীর্ঘদিন যাবত সুনামের সঙ্গে ব্যবসা পরিচালনা করিয়া আসিতেছে আড়ৎদার মালিক সমিতি। এই সুপ্রতিষ্ঠিত ফলের আড়তে হঠাৎ করে শকুনের নজর পড়ে যায় আওমীলীগ যুবলীগ নেতা মোঃ আনোয়ার হোসেন (৪০) ঢাকা আশুলিয়া এ্যালিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের পাশে খালি জমি ভাড়া নিয়ে ব্যবসায়ীদের কাছে মোটা অংকের টাকা জামানত নেয়।
তাদেরকে এই ভাবে ঘর ও রাস্তা নির্মাণ করে দেওয়ার কথা বলে।এদিকে সন্ত্রাসী আনোয়ার হোসেন (৪০) ভুক্তভোগী ফল ব্যবসায়ীদের জামানাতের টাকা বিনিময়ে কোন ষ্ট্যাম বা দলিল না দিয়ে উল্টো আরো ব্যবসায়ীদেরকে মারধর করে ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান ভাঙচুর করে বন্ধ করে দেন। গত ৫ই আগস্ট বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতা আন্দোলনে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর আওয়ামী যুবলীগ নেতা মোঃ আনোয়ার হোসেন (চিসতি) ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে বিসমিল্লাহ ফল আড়ৎদার মালিক সমিতি ও দোকানদারের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। যাহাতে ব্যবসায়ীরা প্রচন্ড ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
তাৎক্ষণিক হাইওয়ে রোডে থাকা টহলরত সেনা সদস্যরা, এসে বিষয়টি নিয়ন্ত্রণেয়া আনে। সেনাবাহিনীর উপস্থিতি দেখে সাধারণ জনতার ভিড়ে একপর্যায়ে আনোয়ার হোসেন (৪০) তার লোকজন নিয়ে পালিয়ে যায়। ফল ব্যবসায়ী আড়ৎদার মালিক সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক একাধিকবার আনোয়ার হোসেন চিসতির সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে, আনোয়ার হোসেন তাদেরকে মেরে ফেলার হুমকি দেয় ও তাদেরকে কোন টাকা ফেরত দিবে না বলে চাপ জানিয়ে দেয় শুধু – তাই নয় তাদেরকে কোন ষ্ট্যাম কিংবা দলিল দিবে না এটাও জানিয়ে দেয়। আনোয়ার হোসেন চিসতি বিসমিল্লাহ ফল আড়ৎদার মালিক সমিতি প্রত্যেকটি সদস্যকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেন।বিগত আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকা কালীন সময়ে বিভিন্ন সময় বহিরাগত লোকজন নিয়ে ব্যবসায়ীদের প্রতি আনোয়ার হোসেন জুলুম নির্যাতন করতেন। তার জুলুম হতে ব্যবসায়ী লেভার, ভ্যানচালক, ঝাড়ুদার, এমনকি আড়তে আগত পাইকার ও খুচরা ব্যবসায়ীদের কেউই রক্ষা পেত না।এ বিষয়ে বিসমিল্লাহ পাইকারী কাঁচা বাজার ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সমবায় সমিতি, লিঃ এর সাধারণ সম্পাদক মোঃ আল-মামুন (৪৩), সাং বৃহত্তর উত্তরা, বিসমিল্লাহ পাইকারি কাঁচাবাজার সুইচ গেইট, উত্তরা পশ্চিম থানা, ঢাকা-১২৩০।
তিনি সাংবাদিকদের জানান আমি বৃহত্তর উত্তরা বিসমিল্লাহ পাইকারী কাঁচা বাজার ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সমবায় সমিতি, লিঃ গভঃ রেজি নং-০০৩৭৮, নামীয় সমিতি, সুইচ, গেইট সেক্টর নং-১০, উত্তরা পশ্চিম থানা, ঢাকা-১২৩০, এর সাধারণ সম্পাদক পদে নিয়োজিত থাকিয়া অত্যন্ত সুন্দর ও শান্তিপূর্ন ভাবে মার্কেট পরিচালনা করিয়া আসিতেছি কিন্তু সন্ত্রাসীদের গডফাদার (১) মোঃ আনোয়ার চিসতি, পিতা- ওয়াহেদ, সাং বাসা নং-১৩০, কোর্টবাড়ী, ফায়দাবাদ, থানা-দক্ষিণখান, জেলা-ঢাকা। তিনি ও তার সন্ত্রাস বাহিনী (২), মোঃ মাহাবুব হক, পিতা-অজ্ঞাত, ঠিকানাঃ ট্রান্স মিটার ফায়দাবাদ, দক্ষিণখান, ঢাকা-১২৩০, (৩) জহিরুল ইসলাম, পিতা- অজ্ঞাত, ঠিকানা: পাগার সাহেব বাড়ী, থানা-টঙ্গি পূর্ব, গাজীপুর, (৪) মোঃ মারুফ, পিতা-অজ্ঞাত, ঠিকানা: কাউন্সিলর মোতালেব সাহেবের বাড়ী, ওয়ার্ড ৪৭, থানা-দক্ষিণখান, ঢাকা, (৫) মোঃ মন্টু মেম্বার, পিতা-অজ্ঞাত, (৬) মো: রাব্বি, পিতা-মনির হোসেন, (৭) মো: আকাশ, পিতা- মো:তাইজুল ইসলাম, (৮) মো: রাকিব, পিতা- মো: তাইজুল ইসলাম, সর্ব সাং বাসা নং-১৩০, কোর্টবাড়ী, ফায়দাবাদ, থানা-দক্ষিণখান, জেলা ঢাকা (৯) মো: কদম, পিতা- মোঃ আতি বেপারী, (১০) মো: আহাদ, পিতা- মো: আতি বেপারী, ঠিকানা: উভয় সাং- কুমারী, থানা- লোহাগরা, জেলা-নড়াইল, বর্তমান বাসা নং-১৩০, কোটবাড়ী, ফায়দাবাদ, থানা-দক্ষিনখান।
বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের আমালে বিগত ০৮/০৫/২০২২ ইং তারিখে পূর্বের সভাপতিকে অস্ত্র ঠেকিয়ে উপরে উল্লেখিত ১ নং সন্ত্রাসী উক্ত সমিতির সভাপতি হন। তারপর ৭৩ জন ব্যবসায়ীর নিকট থেকে ৪৮৭৬৪০০০ (চার কোটি সাতাশি লক্ষ চৌঘাট্টি হাজার) টাকা নিয়েছে। অগ্রিম বাবদ ব্যবসায়িদের নিকট থেকে আরো ১৬,০০,০০,০০০০ (ষোল কোটি) টাকা এবং ১০০ জন পারিশ্রমিকের কাছ থেকে অগ্রিম বাবদ ২০ লক্ষ টাকা ইহা ছাড়াও অন্যান্য ব্যবসায়িদের সহ মোট ২০ কোটি টাকা আত্বসাৎ করিয়াছেন। ফ্যাসিস্টবাদী সরকারের পতনের পর মার্কেট থেকে বাহির হয়ে যায়। উক্ত টাকা আদায়ের লক্ষ্যে আমি বিভিন্ন ভাবে চেষ্টা করিয়া ব্যর্থ হইয়া, বিগত ০২/০৯/২০২৪ ইং তারিখ বিজ্ঞ সি এম এম আদালত ঢাকায় একটি সি আর মামলা দায়ের করি। যাহা সি আর মামলা নং ১২৭৩/২৪ ধারা ৪২০/৪০৬/৩৮৫/৪২৭/৫০৬ ধারায়। উত্তরা পূর্ব থানায় একটি হত্যা মামলা করা হয় , মামলা নং – ৩ ধারা ১৪৩/১৪৭/১৪৮/৩০২/১০৯/১১৪/ ৩৪ দন্ড বিধি । বিবাদীগণ আমাকে এবং মার্কেট কমিটির লোকদেরকে এবং ব্যবসায়িকদেরকে মার্কেট থেকে উৎখাত করার জন্য বিভিন্ন ভাবে অপচেষ্টায় লিপ্ত রহিয়াছে। তারা আমাকে এবং মার্কেটের বিভিন্ন লোকদেরকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়া আসিতেছে। তারা মিথ্যা মামলায় আমাদেরকে জড়ানোর হুমকি দিচ্ছে। এমনকি মোঃ মতিন ব্যাপারীকে মিথ্যে মামলায় জেল হাজতে। বর্তমানে আমি এবং মার্কেট কমিটির লোক জন প্রাণ নাশের হুমকির আশংকাবোধ করছি।আনোয়ার হোসেন চিসতি (৪০) এর বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাধিক অভিযোগ রয়েছে। রয়েছে ছাত্র জনতার বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে ছাত্রদের মেরে গুম করার অভিযোগ। বিসমিল্লাহ ফল আড়ৎদার মালিক সমিতির সভাপতি মোঃ মতিন বেপারী বলেন আমরা তার নির্যাতনে অতিষ্ঠিত, আমরা তার হাত থেকে মুক্তি চাই, এই বাজারে সকল ব্যবসায়ী মুক্তি চায়। সে একজন লোভী মানুষ, তার মূল কাজই হল মানুষকে ঠকিয়ে নিজের স্বার্থ হাসিল করা।
তিনি আরো বলেন আমরা আমাদের অধিকার চাই আমরা তার কাছে টাকা দিয়েছি সেই সব টাকা আর ফেরত চাই। ফল ব্যবসায়ী আড়ৎদার মালিক সমিতি সাধারণ সম্পাদক মোঃ আল মামুন বলেন তার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ রয়েছে। সন্ত্রাসিদের গডফাদার আনোয়ার হোসেন চিসতি’র জন্য আমরা কোন কথা বলতে পারি না। আমরা চাই আমাদের অধিকার ফিরিয়ে দেওয়া হোক, আমরা শান্তিতে ব্যবসা করতে চাই। আমরা চাই না তার মত খারাপ মানুষ আর কখনো কোন প্রতিষ্ঠানে থাকুক। তিনি আরো বলেন সে ছাত্র-জনতা খুনের মামলাঘর আসামী। তার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ রয়েছে বিভিন্ন থানায় এরপরও তিনি রয়ে যায় ধরা ছোয়ার বাইরে। এতো অপকর্মের পরেও প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে কিভাবে ঘুরে বেড়াচ্ছে উক্ত সন্ত্রাসীদের গডফাদার আনোয়ার হোসেন চিসতি ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী এ নিয়ে রয়ে যায় সাধারণ মানুষের মনে জল্পনা কল্পনা। তবে কি তার প্রতি রয়েছে প্রশাসনিক কোন দুর্বলতা নাকি অন্য কিছু বিষয়টি দ্রুত তদন্ত সাপেক্ষে খুঁজে বের করে উক্ত সন্ত্রাসী বাহিনীদের গ্রেফতার করে তাদের আইনি ভাবে সর্বোচ্চ শাস্তি প্রদানের জন্য প্রশাসনিক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা সহ বর্তমান সরকার প্রধানের প্রতি বিনীতভাবে অনুরোধ করেন। উক্ত ফল ব্যবসায়ী সহ নির্যাতিত ও নিপীড়িত জনগণ।