স্টাফ রিপোর্টার :
ব্যাংক ও ফাইন্যান্স শব্দটির সাথে আমরা সকলেই কমবেশি পরিচিত। আমাদের দেশে অনেক ফাইন্যান্স কোম্পানি আছে এর মধ্যে আই. ডি. এল. সি -ফাইন্যান্স কোম্পানি লিঃ একটি। এই ফাইনান্স কোম্পানির কার্যক্রম অনেক অস্পষ্ট ও অনিয়মে পরিপূর্ণ।
মোহাম্মদ শিহাবউদ্দিন নামের একজন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার স্টাফ যিনি আই. ডি. এল. সি-ফাইনান্স কোম্পানি লিঃ একজন হোম লোন গ্রহীতা, তিনি এই ফাইনান্স হতে প্রতারণা ও হয়রানিতে অতিষ্ট হয়ে সংবাদ মিডিয়ার সাহায্য নিতে বাধ্য হয়েছেন। গত ২০/১০/ ২০১৬ সালে I.D.L.C ফাইনান্স কোম্পানি লিঃ হতে ২০,৮০,০০০ টাকা হোম লোন ১৫ বছরে ১০% সুদসহ পরিশোধ করার শর্তে ঐ কোম্পানিতে কর্মরত গ্যারান্টারের মাধ্যেমে গ্রহণ করেন ।
উল্লেখ যে এই গ্যারান্টারের পরবর্তী সময়ে পোস্টিং হয়ে যায় তাই কোন যোগাযোগ করা সম্ভব হয় নি।হোম লোন তাঁর ও তাঁর স্ত্রীর নামে নেওয়া হয়, তাঁর হিসাব নং-১০৮৩০৮৫২৬৯০৫৮১১৬ এবং বিকল্প হিসাব নং- ১০৮৩০৮৫২৬৯০৫৮০৩৫ হতে ৪১ টি চেক জামানত হিসেবে ঐ ফাইনান্স কোম্পানিকে জমা দেন কারন মোহাম্মদ শিহাবউদ্দিন বিদেশে জব করেন ও থাকেন।
তারা ২৫,৩০০ টাকা মাসিক কিস্তিতে নিয়মিত ঋণ পরিশোধ করে আসছিলেন কিন্তু কোভিড -19 এর করলে যখন বাংলাদেশ সরকার ও বাংলাদেশ ব্যাংক নির্দেশ দিলেন যে জোর করে কোন ব্যাংক লোনের সুদ আদায় করতে পারবে না ও ৯% সুদে সকল ঋণ গ্রহিতা ঋণের টাকা পরিশোধ করবে।
তখন ২/১ টি ঋণের কিস্তি দিতে দেরি করলে মোবাইলে হুমকি দিয়ে টাকা আদায় করেন। ১২.২৫ % সুদের হারে তাদের ঋণের টাকা ২৫,৩০০/-টাকা করে দিতে হয়েছে। বিগত ০৪/০২/২০২১ ইং তারিখ এবং ০২/০৬/২০২১ইংরেজ তারিখ ২৫০০০ টাকা, ২৮/০৬/২০২১ ইং তারিখ ২৬,৩১৬/-টাকা এবং ২৯/০৬/২০২১ ইং তারিখে ২৪,৮৯৬/- টাকা ভয়ভীতি প্রদর্শন করে আদায় করেছেন যা অমানবিক ও বেআইনীও বটে।
মোহাম্মদ শিহাব তাদের বরাবর এই মর্মে ২/৩ বার দরখাস্ত করে কোন জবাব পান নাই বা বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক নির্ধারিত ৯% লভ্যাংশ সুদ সহ আসল কত টাকা মাসিক কিস্তি পরিশোধ করবেন তার কোন পত্র ফাইনান্স কোম্পানি দেন নি। মোহাম্মদ শিহাব নামীয় ডাচ্ বাংলা ব্যাংকের হিসাব নং- 132.101.1708 এর চেক নং-৩৮৭৩৬৯০ এবং ৫৪০৫২০১-২০ এবং 4094331-50 পর্যন্ত সর্বোমোট ৪১ টি চেক সিগনেচার সহ ব্লাংক চেক গ্রহন
করার সময় ঐ কোম্পানি কোন ডকুমেন্টস প্রদান করেন নি।
মোহাম্মদ শিহাব এমনিস্টি আন্তর্জাতিক মানবাধিকারের(লন্ডন) স্টাফ হিসেবে তুরষ্কে একটি প্রজেক্টে কর্মরত আছেন, তিনি বলেছেন যে তিনি যদি এদেশে কোন ন্যায় বিচার না পান তাহলে তার কর্তৃপক্ষকে জানাতে বাধ্য হবে যে তাঁর সাথে অন্যায় হচ্ছে যেটা আমাদের দেশের ভাবমূর্তিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
কারন একটাকা লোন দিয়ে দশ টাকা আদায়ের যে পলিসি তারা করেছে, সরকার ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কোন নিয়ম ফলো না করে বাংলাদেশ আইন ভঙ্গকরার সাহস করেছে তাতে মোহাম্মদ শিহাব দেশের নাগরিক হিসেবে নায্য অধিকার হতে বঞ্চিত হয়ে ব্লাকমেইল হয়েছেন।
তিনি I.D.L.Cব্যাংকের হেড অফিসে তাদের সিলেটের শাখা ফাইনান্সের দুর্নীতির বিষয়ে জানালে কোন পদক্ষেপ বা জবাব দেন নি। এই ফাইনান্স কোম্পানি একটার পর একটা মিথ্যা মামলা দিয়ে মোহাম্মদ শিহাবকে বারবার হয়রানি করে তাঁর কর্মরতজীবনে ব্যাঘাত ঘটাচ্ছেন যা অমানবিক অত্যাচার ছাড়া কিছুই নয় এবং এতে তাঁর সম্মানহানী হচ্ছে।
তিনি বাংলাদেশ ব্যাংকে ঋণের সুদের হার নিয়ে চিঠি প্রদান করেন। ঐ ফাইনান্স কোম্পানি পরবর্তীতে একটি ফর্মে ৯% সুদে ঋণ কর্তন করবেন বলে পূরণ করালে তা কর্যকর করেন নি। ঐ কোম্পানি ২০২২ সাথে ৮ লক্ষ ৪৮ হাজার টাকার চেক ডিজঅনার করেন।
মোহাম্মদ শিহাব ৩৬টি ঋণের কিস্তি প্রদানের পর তাকে হয়রানির উদ্দেশ্য ঐ ফাইনান্স কোম্পানি মোট ৬০,০০,০০০/=টাকার মিথ্যা মামলা করেন কিন্তু মোহাম্মদ শিহাব জানান যে তিনি ১৪০০০০০/=টাকার ঋণেরসুদসহ ঐ ফাইনান্স কোম্পানি কে প্রদান করেন যার একটি নোটিশ তিনি আই. ডি. এল. সি ফাইনান্স কোম্পানি লিঃ এর হেড অফিসে প্রেরণ করেন, মিথ্যা মামলাগুলো কোর্টের বিচারক কোয়েশমেন্টে ফেলার কথা বলেছেন বলে মোহাম্মদ শিহাবউদ্দিন জানিয়েছেন। তাঁর এই মর্মান্তিক ঘটনা যেন অন্যদের সাথে আর না হয় তাই তিনি সকলকে এবিষয়ে আরো সতর্কহবার অাহবান করেছেন। তিনি তার পরিবার নিয়ে শান্তিতেই আছে কিন্তু এসব অবৈধ মামলা তাঁর জীবন অতিষ্ট করে তুলেছে।