Breaking News
দুর্বৃত্তদের দেওয়া আগাছানাশকে নষ্ট হয়ে যাওয়া সরিষা ক্ষেতে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক। ছবি : আমাদের সময়

আগাছানাশক ছিটিয়ে নষ্ট করে দেওয়া হলো সরিষা ক্ষেত

অনলাইন ডেস্ক :

পঞ্চগড়ে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে প্রায় এক একর ১৫ শতাংশ জমিতে বোনা সরিষা আগাছানাশক দিয়ে ধ্বংসের অভিযোগ করেছেন তিন কৃষক। ক্ষতিগ্রস্ত এই তিন কৃষক হলেন- তেঁতুলিয়া উপজেলার দেবনগর ইউনিয়ন পরিষদের আতমাগছ এলাকার সকিন আলী, আমিনার রহমান ও নুর ইসলাম।

ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা এ ঘটনায় একই এলাকার রহুল আমিন, এরশাদ আলী, আব্দুল জব্বার, আব্দুস সাত্তার ও চাঁন মিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন। তাদের দাবি, জমি নিয়ে বিরোধের জেরে আগাছানাশক ছিটিয়ে তাদের ফসল নষ্ট করা হয়েছে। এতে আর্থিকভাবে প্রায় দেড় লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন তারা। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা।

অভিযোগে তারা জানান, পৈতৃক সূত্রে এই তিন কৃষক ৩ একর ৮৯ শতক জমি দীর্ঘ দিন ধরে চাষাবাদ করে আসছিলেন। ওই জমির মধ্যে ১ একর ১৫ শতাংশ জমিতে এবার তারা সরিষা চাষ করেছেন। সরিষা গাছগুলো বেশ মোটাতাজা হয়ে উঠেছে, ফুল ফুঁটে এখন ফল ধরেছে। ঠিক এই সময়ে গত ৩ ফেব্রুয়ারি রাতে তাদের সরিষা ক্ষেতে আগাছানাশক ছিটিয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা। পুরো সরিষা ক্ষেত আগাছানাশকে ঝলসে গেছে। মরে যাচ্ছে ফলন্ত গাছগুলো। এতে তাদের প্রায় দেড় লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক আমিনার রহমান বলেন, ‘আমরা ৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে জমিগুলো চাষাবাদ করে আসছি। জমিগুলো আমরা পৈতৃক সূত্রে পেয়েছি।এসএ রেকর্ডও আমাদের নামে রয়েছে। কিন্তু কয়েক বছর আগে রহুল আমিন ও তার ভাইয়েরা জমিটি তাদের বলে দাবি করে আদালতে মামলা করেন। মামলা রায়ের আগ মুহূর্তে তারা নিজেদের পরাজয় বুঝতে পেরে জরিমানা দিয়ে মামলা প্রত্যাহার করে নেন। তারপরও বিভিন্নভাবে আমাদের হুমকি প্রদর্শন ও হয়রানি করতে থাকেন।’

তিনি বলেন, ‘গত মাসের ২৩ তারিখে আমরা ইউনিয়ন পরিষদে বিচার দিয়েছিলাম। কিন্তু সেখানে তারা তাদের স্বপক্ষে কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারেনি। আইনগতভাবে তারা না পেরে আমাদের সরিষা ক্ষেত আগাছানাশক ছিটিয়ে ধ্বংস করে দিয়েছে।’

তবে অভিযুক্তপক্ষের রহুল আমিন অভিযোগ অস্বীকার বলেন, ‘তারা মিথ্যে অভিযোগ করছে। জমিটির মালিক আমরা। এই মর্মে আমরা আদালতে মামলাও করেছি।’

এ বিষয়ে দেবনগর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মহসিনউল হক বলেন, ‘গত মাসে উভয় পক্ষকে নিয়ে আমরা বসেছিলাম। কিন্তু রহুল আমিনরা যে, ওই জমি তাদের দাবি করছে, তার কোন কাগজ উপস্থাপন করতে পারেনি। পরে আমি তাদের দেওয়ানি আদালতের আশ্রয় নেয়ার জন্য পরামর্শ দেই।’

তেঁতুলিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সোহাগ চন্দ্র সাহা বলেন, ‘তারা আমার কাছে লিখিতভাবে অভিযোগ করেছেন। যেহেতু এটি অপরাধমূলক ঘটনা, আমি তাদের আদালতের আশ্রয় নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছি। তবে তাদের ফসলের ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যানের মাধ্যমে আবেদন দিতে বলেছি। আবেদন পেলে আমরা তাদের কিছু সহযোগিতার চেষ্টা করব।’

সুত্র :আমাদের সময়

Print This Post

About Amena Fatema

Check Also

রাশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্য-বিনিয়োগ বাড়ানোর তাগিদ

বাংলাদেশ-রাশিয়া সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠকে দুই দেশের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়ানোর …

Leave a Reply