স্টাফ রিপোর্টার :
কেরানীগঞ্জে পৈতৃক সম্পত্তি ভোগদখলীয় জমি ভূমি দস্যুদের হাত থেকে রক্ষা পেতে চান বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক সেনা সদস্য মো: মোজাম্মেল হক।
মোজাম্মেল হক বলেন, নিজেদের পৈতৃক সম্পত্তি যাহার পরিমাণ মোট ৬৪ শতাংশ, সি এস খতিয়ান নং- ২২৬, এস এ খতিয়ান নং- ৫৩৬, সি এস ও এস এ দাগ নং- ১১৮৬, মৌজা হযরতপুর, থানা : কেরানীগঞ্জ মডেল, জেলা : ঢাকা, আমরা ওয়ারিশগন প্রায় ৩৭ বছর থেকে এই জমি ভোগদখল এবং চাষবাস করে আসছিলাম।
কিন্তু হটাৎ করে কিছু দিন পূর্বে (১) এম এ গফুর সিকদার , পিতা: সামসুল হক, গ্রাম : বাঘুলী, থানা : সিংগাইর, জেলা : মানিকগঞ্জ এবং ( ২) মহিউদ্দিন, পিতা : শফিউদ্দিন, গ্রাম : কানাচর,থানা কেরানীগঞ্জ একটি সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে আমাদের পৈতৃক সম্পত্তি জমির মালিকানা দাবি করে তার ওপরে সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে দেয়। এ ছাড়াও ইট-বালু এনে জমির চারপাশে একটি বাউন্ডারি দেয়ার চেষ্টা করলে তৎক্ষনাৎ স্থানীয় লোকজন এসে বাধা প্রদান করেন।
এ সময় নিজেকে একজন আইনজীবী পরিচয় দিয়ে সকলকে মামলার ভয় দিয়ে সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে নানা ধরনের হুমকি দিতে থাকে। বিষয়টি নিয়ে ভুক্তভোগী বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাম্মেল হক থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করলেও পুলিশ এ ব্যাপারে কোনো সহযোগিতা করেনি বলে জানান অভিযোগকারী ।
ভূমি দস্যু গফুর গং বিভিন্ন সময় মোজাম্মেল হক ও তার পরিবারকে সন্ত্রাসী বাহিনীর মাধ্যমে প্রাণ নাশের হুমকি দিতে থাকে। ভুক্তভোগী জানান,আমি সহ আমার পরিবারের বিরুদ্ধে একটি মিথ্যা চাঁদাবাজি মামলা দিয়ে হয়রানি করে আসছে এই গফুর সিকদার ।
এতে করে বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাম্মেল হক ও তার পরিবারের পৈতৃক সম্পত্তি ও নিজেদের টিকে থেকে সুস্থ ভাবে জীবন যাপন করা খুবই কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ছে বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। খবর নিয়ে জানাযায়, এই গফুর সিকদারের বিরুদ্ধে এর আগেও শ্লীলতাহানি, ল্যাপটপ চুরির মামলা,এমনকি মার্ডার মামলা,ভূমিদস্যুতা সহ নানা প্রকার অপকর্মের অভিযোগ রয়েছে। এমন কোনো অপকর্ম নাই যা তিনি করেননা।
এ সকল অপকর্মের পরও আইনের বেড়াজাল থেকে তিনি যে কোনো উপায়ে বের হয়ে আসেন। এ বিষয়ে অভিযোগকারী বীর মুক্তিযোদ্ধা মো:মোজাম্মেল হক সংবাদকর্মীদের মাধ্যমে যথাযথ কর্তৃপক্ষের সু-দৃষ্টি কামনা করেন।