নিজস্ব প্রতিনিধি : সাবেক ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য, গাছা থানার যুবলীগের সভাপতি পদপ্রার্থী, সাবেক কাউন্সিলর, ৩৭ নং ওয়ার্ড, গাজীপুর সিটি করপোরেশন, ভুক্তভোগি রিনা আক্তার, স্বামী মোঃ এরশাদ হোসেন সহ তাহাদের পুরো পরিবার আজ বাড়ি ঘর ভিটেমাটি ছাড়া, রিনা আক্তার ও তাহার স্বামী এরশাদ হোসেন বলেন, জুয়েল মন্ডল তাহাদের ভিটেমাটি বাড়ি ঘর জোর পূর্বক জিম্মি করে মেরে ফেলা ও মামলার হুমকি দিয়ে অস্ত্র ঠেকিয়ে লিখে নিয়ে যায়।
পরবর্তীতে দখল নিয়ে তাহাদের কে বাড়ি থেকে বের করে দেয়, এমনকি তাহাদের কে প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করেন, রিনা আক্তার বলেন, আমার স্বামী এরশাদ হোসেন প্রায় তিন বছর বাড়ি ছাড়া রয়েছেন, এমন কি রিনা আক্তার এর শাশুরী গত ৪/৬/২৪ তারিখে খেয়ে না খেয়ে বুকভরা কষ্ট নিয়ে না ফেরার দেশে চলে যান,পরবর্তীতে রিনা আক্তারের শ্বশুর ও এতিম খানায় আশ্রয়ে থেকে না খেয়ে বিনা চিকিৎসায় ১১/৮/২৪ তারিখে মৃত্যু বরন করেন। জুয়েল মন্ডল এর হুমকির কারনে এরশাদ হোসেনকে তাহার মা- বাবার লাশ ও দেখতে দেন নি, এমনকি জানাজায় ও শরিক হতে দেয় নি। অনেক অনুরোধ করেছেন ছেলে তার মা – বাবার জানাজায় অংশ নেওয়ার জন্য,
কিন্তু পারলো না মা- বাবার লাশ টাও দেখতে,,এবং জানাজায় শরিক হতে। বাড়ি ঘর জবর দখল ও লিখে নিয়ে যাওয়ার পর ও এরশাদের স্ত্রী রিনা আক্তার রক্ষা পায়নি জুয়েল মন্ডল এর হিংস্র থাবা থেকে।
জুয়েল মন্ডল কু নজর পরে এরশাদের স্ত্রীর উপর, যৌনহেনস্তার শিকার হয়। কয়েক দিন আটকিয়ে রেখে জুয়েল মন্ডল, এরশাদের স্ত্রী রিনা আক্তারকে কু প্রস্তাবে বলে তোমার ইজ্জতের বিনিময়ে বাড়ি ঘরে, সব কিছু ফিরিয়ে দিবো। এরশাদের স্ত্রী রাজি না হওয়ায়,তার উপর পাশবিক নির্যাতন চালায়, এক পর্যায়ে জুয়েল মন্ডল বলে এসব কথা কাউকে যদি বলো তাহলে তোমার সন্তানদের মেরে ফেলবো।পরিবারের সকলেই বিচারের আসায় তিনটি বছর ঘুরে বেড়াচ্ছেন বিভিন্ন জায়গায়
ও প্রশাসনের দরজায়, আওয়ামী সৈরশাসক এর আমলে কোথায় ও বিচার পায়নি।
এই তো গত ১২ / ১০/২৪ তারিখে গাছা থানায় ২৫ জন কে আসামি করে একটা অভিযোগ দায়ের করেন রিনা আক্তার। কিন্তুু তারই আপন বড় ভাই আসাদুজ্জামান আসাদ আওয়ামী এজেন্ডার গাছা থানার বিএনপির সাবেক সভাপতি, এর দাপট ওপ্রভাবের কারনে থানার ওসি সাহেব মামলা রুজু করতেছে না।রিনা আক্তার ওসি সাহেব এর সাথে কয়েক দিন দেখা করে ও ওসি সাহেব দেখতেছি বলে ঘুরাচ্ছে। জুয়েল মন্ডল এর সন্ত্রাসী বাহিনী দ্বারা এখন জুয়েল মন্ডল এর বড় ভাই সাবেক গাছা থানার বিএনপি নেতা আসাদ এলাকায় জুয়েল মন্ডল এর যত অবৈধ ব্যবসা, ডিস, ইন্টারনেট,গার্মেন্টস এর জুট নামানো থেকে শুরু করে, পরের জমিতে জোর করে খামার করা সহ সকল কিছুই দেখা শোনা করে এই চাঁদাবাজ আসাদুজ্জামান আসাদ।
এখন পর্যন্ত হুমকি দিয়ে যাচ্ছে জুয়েল মন্ডল ও তার ভাই আসাদুজ্জামান আসাদ। তাদের ভয়ে কেউ কোন কথা বলার সাহস পাচ্ছে না,।যে জুয়েল মন্ডল সহ যে ২৫ জন আসামি করা হয়েছে তারা প্রতিনিয়ত হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। জুয়েল মন্ডল তার সন্ত্রাসী বাহিনী দ্বারা। যখন বাড়ি ঘর অস্ত্রঠেকিয়ে এরশাদ ও এরশাদের বাবাকে জিম্মি করে লিখে নিয়ে যায় পরবর্তী তে এরশাদের সকল , কাগজ পত্র যেমন স্বাক্ষর কৃত চেক বই,দলিল পত্র, সার্টিফিকেট, নগদ অর্থ, গহনা, এবং গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্টস জিম্মি করে অস্ত্র ঠেকিয়ে নিয়ে যায়। এখন পর্যন্ত কেউ তাদের আত্মনাতের কথা শুনছেন না।
তাই কোন উপায় অন্তর না পেয়ে খুবই কঠিন এবং বিব্রতকর পরিস্থিতিতে দিশে হারা পরিবার বর্তমান সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন, এবং প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করছেন, বাড়ি ঘর ফার্নিচার পত্র, স্বাক্ষর কৃত চেক বই, সার্টিফিকেট সহ সকল ডকুমেন্টস ফিরে পাওয়ার জন্য মানবিক সুদৃষ্টি ও সহযোগিতা এবং পরিবারের নিরাপত্তা কামনা করছি।প্রতিদিন সকাল ও বিকাল যে কোন সময় আমাদের মামলা রুজু করার জন্য আমরা থানায় গেলে কিছু সময়ের মধ্যে আসাদ তার সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে হাজির হয়।আমি বা আমার পক্ষে কেউ ওসি বা তদন্ত অফিসার এর সাথে ঠিক মতো কথা বলার সুযোগ পাই না।এমন ভাবে বিচরন করে মনে হয় থানা ও থানার ওসি সহ সকল লোকজন বি এনপি নেতা আসাদ এর কিনা নেওয়া। যাহাতে থানায় আসাদের নামে কোন অভিযোগ বা মামলা বা বিচার না করত পারে।পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।