অনলাইন ডেস্ক :
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) ভোটের উত্তাপ ছড়িয়েছে জাতীয় সংসদেও। ২৭ জানুয়ারি, বুধবার চসিক নির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলাকালে সংসদে বিল পাসের সময় বিএনপির সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদ প্রসঙ্গটি তোলেন। এ সময় আইনমন্ত্রী ও সংসদে বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সদস্যরা তার জবাব দেন। ‘দ্য সিভিল কোর্টস (সংশোধন)- ২০২১’ সংসদে পাসের সময় জনমত যাচাইয়ের প্রস্তাব তোলেন বিএনপির সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদ।
তিনি বলেন, সংবিধানে বলা আছে সব পর্যায়ে নির্বাচিত প্রতিনিধিরা প্রশাসন চালাবেন। কিন্তু আজ কী হচ্ছে? নির্বাচেনর নামে তামাশা হচ্ছে। প্রহসন হচ্ছে। এর প্রয়োজন নেইতো। ভোটের প্রয়োজন নেই, আইন করে নির্বাহী ক্ষমতাবলে প্রধানমন্ত্রী যাকে খুশি মনোনয়ন দেবেন। তিনি নির্বাচিত হবেন। সকালে দেখলাম, চট্টগ্রামের সিটি করপোরেশনে কী হচ্ছে?
পরে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক অন্য সদস্যদের জনমত যাচাইয়ের প্রস্তাবের জবাব দেওয়ার পর বলেন, আমরা এখানে যারা আছি গতকালকে জন্ম নেইনি। উনারা নির্বাচনের কথা বলছেন। আমরা জিয়াউর রহমানের সময় ‘হ্যাঁ-না’ ভোট দেখেছি। ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচন দেখেছি। ব্যালটবাক্স পাওয়া যেত না। ভোট যে দেবে ব্যালট বাক্স নেই। যাদের এই চরিত্র তাদের কাছ থেকে নির্বাচন কিভাবে সুষ্ঠু করতে হয় সেটা শেখার প্রয়োজন নেই। জনগণকে ভোট দেওয়ার অধিকার ফিরিয়ে দিয়েছি।
পরে সংশোধনী প্রস্তাব তোলার সময় বিএনপির সংরক্ষিত আসনের সদস্য রুমিন ফারহানা বলেন, ভোট দেয় প্রশাসন। আর দেখে জনগণ। ভোটটা সুষ্ঠু করে করলেইতো হয়। কারও থেকে ভোট শিখতে হবে না। ভোট কীভাবে দিতে হয় সেটা সবাই জানে। ভোটটা দিতে দিলেই হয়।
হারুনের বক্তব্যের জবাবে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য মুজিবুল হক বলেন, তার এলাকায় পৌরসভা নির্বাচন ‘অত্যন্ত সুষ্ঠু’ হয়েছে।
জাতীয় পার্টির আরেক সংসদ সদস্য পীর ফজলুর রহমান বলেন, সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর পৌরসভায় বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী জয়ী হয়েছেন। বিএনপির প্রার্থী নিজেই বলেছেন, নির্বাচন সুন্দর হয়েছে। তার ওই বক্তব্য বিবিসিতেও প্রচারিত হয়েছে।
জাতীয় পার্টির আরেক সংসদ সদস্য শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেন, তার পৌরসভায় ৮৪ শতাংশ ভোট পড়েছে। এতে লাঙ্গল জয়ী হয়েছে। সবাই মিলে চাইলে ভোট সুষ্ঠু হবে।পরে সংশোধনী প্রস্তাব তোলার সময় বিএনপির হারুনুর রশীদ বলেন, চট্টগ্রামে বহু কেন্দ্র থেকে বিএনপির এজেন্টদের বের করে দেওয়া হয়েছে। গণমাধ্যমকর্মীদের পাস দেওয়া হচ্ছে না। তিনি বলেন, চাইলে তিনি মোবাইলফোনে এসব চিত্র দেখাতে পারবেন।
সংশোধনী প্রস্তাবের জবাব দিতে উঠে আইনমন্ত্রী বলেন, বিএনপির আমলে কখন, কোথায় ভোট হবে, তা জানা যেত না। তিনি প্রশ্ন রাখেন, ১৫ ফেব্রুয়ারি কী নির্বাচন হয়েছিল? কতজন ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছিল?
সুত্র : খোলা কাগজ