অনলাইন ডেস্ক :
পুলিশ জানায়, সাবিনা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার চরনারায়ণপুর গ্রামের বাসিন্দা। তাঁর স্বামী মিলন মিয়া বেঁচে নেই। সাবিনা ঢাকায় একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করেন। কর্মস্থলে ফেরার জন্য গতকাল চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী আন্তনগর মহানগর গোধূলি ট্রেনের যাত্রী হয়েছিলেন। তিনি ট্রেনে ওঠেন আখাউড়া থেকে। রাত পৌনে নয়টার দিকে ভৈরব স্টেশনে ট্রেনটি যাত্রাবিরতি দিয়ে আবার ছেড়ে গেলে ধীরগতিতে ট্রেনটি প্ল্যাটফর্ম অতিক্রম করে।
ওই সময় সাবিনা দুই কামরার সংযোগস্থলে দাঁড়িয়ে ছিলেন। ছিনতাইকারীও সাবিনা পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন। ট্রেনটি প্ল্যাটফর্মের সামান্য সামনে এগোনোর সঙ্গে সঙ্গে সাবিনার হাতে থাকা ব্যাগটি ছিনিয়ে নিতে টান দেন ছিনতাইকারী। এ সময় সাবিনা ট্রেন থেকে নিচে পড়ে যান।
তবে ট্রেনের ভেতরে থাকা যাত্রীদের কয়েকজন বলেছেন, সাবিনা দরজার কাছে ছিলেন। ছিনতাইকারীর অবস্থান ট্রেনে নয়, নিচে ছিল। সাবিনা ট্রেন থেকে নিচে পড়ে যাওয়ার পর তাঁর সন্তান ট্রেনে রয়ে যায়। পরে যাত্রীরা শিশু মেরাজকে বিমানবন্দর পুলিশের কাছে বুঝিয়ে দেন। বিমানবন্দর পুলিশ আবার রাতেই মেরাজকে ভৈরব রেলওয়ে পুলিশের কাছে পাঠিয়ে দেয়। গভীর রাতে শিশুটির খালা তাসলিমা বেগম থানায় এসে মেরাজকে নিয়ে যান।
যাত্রীদের অভিযোগ, ঢাকা-চট্টগ্রামসহ পূর্বাঞ্চলীয় রেলপথে ভৈরব জংশন স্টেশন এখন ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। চলন্ত ট্রেনে এবং ট্রেনে ওঠানামার সময় প্রতিদিন একাধিক যাত্রী নানাভাবে অপরাধীদের হামলার শিকার হন।
ভৈরব রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফেরদৌস আহমেদ বিশ্বাস বলেন, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত নয়জনকে আটক করা হয়েছে। আগে করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আজ সকালে আদালতের মাধ্যমে তাদের কিশোরগঞ্জ কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
সুত্র : প্রথম আলো