অনলাইন ডেস্ক :
কুমিল্লার লাকসাম রেলওয়ে জংশনে যাত্রীবাহী ট্রেনের ছাদ থেকে এক শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তার নাম জানা যায়নি। তার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। শিশুটির বয়স আনুমানিক ১০ বছর।
লাকসাম রেলওয়ে পুলিশ জানায়, ঢাকা থেকে চট্টগ্রামগামী চট্টলা এক্সপ্রেস ট্রেনটি লাকসাম রেলওয়ে জংশনে থামার পর ট্রেনের ছাদ থেকে রক্ত গড়িয়ে পড়ার অভিযোগ করেন যাত্রীরা। এরপরই রেলওয়ে কর্মকর্তারা পুলিশে খবর দিলে তারা এসে শিশুটির লাশ উদ্ধার করে।
চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা চট্টলা ট্রেনের যাত্রীরা জানান, ট্রেনের জানালা দিয়ে বাতাসে রক্ত ছিটকে আসায় তাদের সন্দেহ হয়। বিষয়টি তারা ট্রেনে দায়িত্বরত কর্মকর্তাদের জানালে ছাদে লাশ থাকার সন্দেহ তৈরি হয়। এরপর ট্রেনটি লাকসাম রেলওয়ে জংশন আসলে রেলওয়ের কর্মকর্তারা স্থানীয় পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এসে শিশুটির লাশ পায় ও উদ্ধার করে নিয়ে যায়। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত লাশের কোন পরিচয় পাওয়া যায়নি।
লাকসাম রেলওয়ে থানার এসআই আব্বাস জানান, অবৈধ যাত্রী হিসেবে ছাদে ওঠা ওই শিশুটি অসচেতন অবস্থায় গাছ বা কোনও কিছুর সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে মাথায় প্রচণ্ড আঘাত পায়। এতে সে গুরুতর আহত হয়ে মারা যায়।
এ ব্যাপারে লাকসাম রেলওয়ে থানায় অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করা হয়েছে।
হিজড়ার লাশ উদ্ধার
এদিকে, কুমিল্লার সদর উপজেলার মুড়াপাড়া এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম রেল লাইনের ওপর থেকে বুধবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সকালে তৃতীয় লিঙ্গের (হিজড়া) এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
তার নাম মুন্নি (৩৫)।
কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানার ওসি আনোয়ারুল হক এ বিষয়ে জানিয়েছেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে মুন্নি নামে তৃতীয় লিঙ্গের এই ব্যক্তিকে হত্যার পর ঘাতকরা রেল লাইনের পাশে লাশ রেখে গেছেন। লাশের শরীরে ছুরিকাঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
তিনি জানান, কুমিল্লার পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা লাশ উদ্ধারের ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।