অনলা্ইন ডেস্ক :
ঢাকার ধামরাইয়ে ব্যবসায়ী আজাদ পাওনা টাকা ফেরত আনতে গিয়ে নিখোঁজ হন। রাতভর তার কোন খোঁজ না পেয়ে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের পাশে থেকে তার ক্ষতবিক্ষত লাশ দেখতে পান এলাকাবাসী।
২৩ ফেব্রুয়ারি ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের ধামরাইয়ের বাথুলি বাসস্ট্যান্ডের পাশ থেকে লাশ উদ্ধার করে পুলিশ মর্গে প্রেরণ করে।পরিবারের দাবি, তাকে পরিকল্পিতভাবে খুন করার পর লাশ মহাসড়কের পাশে ফেলে পালিয়েছে দুর্বৃত্তরা।
তবে পুলিশ জানিয়েছে, এটি পরিকল্পিত হত্যা নাকি সড়ক দুঘর্টনা তা লাশের ময়না তদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পরই মৃত্যুর সঠিক কারণ বলা যাবে।
সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, ধামরাইয়ের কিশোরিনগর গ্রামের বাবুল বিশ্বাসের ছেলে আজাদ বিশ্বাস (২৮) বাথুলি কেবিসি কারখানায় চাকরির পাশাপাশি ধানের কুড়া ও ভোজ্যতেলের ব্যবসা করতেন। মাস তিন আগে চাকরি ছেড়ে দিয়ে ধামরাইয়ের কেবিসি ও গাজীপুরের বিভিন্ন কারখানায় ধানের কুড়া সরবরাহ করতো এই ব্যবসা করার জন্য বাবুল কয়েকটি এনজিও থেকে ঋণ তুলে প্রায় সাড়ে চার লাখ টাকা দিয়েছিলেন ছেলে আজাদকে।
গত সোমবার (২২ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে আসরের নামাজ পড়ে নিজ বাড়ি থেকে আজাদ পাওনা টাকা আনার জন্য সাভারের নয়ারহাট যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হন। সারারাত সে আর ফিরে আসেনি। কার কাছে টাকা পান তা বলে না যাওয়ায় খোঁজও করতে পারেনি পরিবারের লোকজন।
বাবা বাবুল বিশ্বাস সাংবাদিকদের বলেন, ‘সন্ধ্যার পর ছেলের সঙ্গে মোবাইলে আমার কয়েক দফায় কথা হয়েছে। সব শেষে রাত পৌনে ৯টায় আজাদ আমাকে বলেছে, টাকা নিয়ে আমাকে ঘুরাচ্ছে। আমি বেশি কথা বলতে পারছি না, বিপদে আছি, আমাকে নয়ারহাট থেকে ধামরাই নিয়ে যাচ্ছে। এই কথা বলার পর আর মোবাইল ফোন রিসিভ করেনি আজাদ।’
এরপর সকালেই খবর পান ধামরাইয়ের বাথুলি বাসস্ট্যান্ডের পাশে ছেলের ক্ষতবিক্ষত লাশ পড়ে আছে। তবে পরিবারের দাবি, যাদের কাছে টাকা পাবে তারাই আজাদকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে লাশ সড়কের পাশে ফেলে রেখে গেছে।
ধামরাই থানার অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) আতিকুর রহমান বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে অজ্ঞাত কোন গাড়ির চাপায় মারা গেছে আজাদ বিশ্বাস। তবে কেউ যদি তাকে হত্যা করে থাকে ময়না তদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পরই মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।’
সুত্র : বাংলাদেশ প্রতিদিন