Breaking News

পাখির কলরবে মুখর আলতাদীঘি

অনলাইন ডেস্ক :

সীমান্তের কোল ঘেঁষা একটি উপজেলা হিসেবে পরিচিত নওগাঁর ধামইরহাট উপজেলা। নওগাঁর পর্যটনকেন্দ্রগুলোর মধ্যে অন্যতম পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে পরিচিত আলতাদীঘি জাতীয় উদ্যান।

শীতকাল পড়ার সঙ্গে সঙ্গে আলতাদীঘির চার দিক থেকে ঝাঁক বেঁধে ছুটে এসে আপন মনে মেতে উঠেছে পরিযায়ী পাখি। পাখির কিচিরমিচির কলকাকলিতে মুখরিত হয়ে উঠেছে শালবনে ঘেরা দিঘির চারপাশ। শীতের তীব্রতা যত ঘনিয়ে আসছে দূর-দূরান্ত থেকে পাখিরাও ততটাই আসতে শুরু করেছে। যেন এক অপরূপ নতুন সাজে মেতে উঠেছে আলতাদীঘি।

একদিকে শীতকাল অন্যদিকে পাখির কলরবে জাতীয় উদ্যানে আসা দর্শনার্থীদের মন কেড়েছে। এমন মনমুগ্ধকর পরিবেশে একবার ঘুরে আসলে মনের ভেতরে তৈরি হবে এক স্বপ্নের বসবাস। নিমিষেই মনের মধ্যে জমে থাকা চাপা কষ্ট ভুলিয়ে ফিরিয়ে আনবে এক অন্যরকম অনুভূতি।

অনুসন্ধানে জানা যায়, আলতাদীঘি জাতীয় উদ্যান রাজশাহী সামাজিক বন বিভাগের আওতায় নওগাঁ জেলার ধামইরহাট উপজেলায় পাইকবান্দা রেঞ্জের অধীনে ধামইরহাট বিটে অবস্থিত। নওগাঁ সদর থেকে ৬০ কিলোমিটার দূরে ধামইরহাট উপজেলায় অবস্থিত এই আলতাদীঘি নামের জাতীয় উদ্যানটি। যার মোট আয়তন ২৬৪ দশমিক ১২ হেক্টর। এই বনভূমির মাঝখানে ৪৩ একর আয়তনে গড়ে ওঠা এক বিশাল দিঘি। পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয় ২০১১ সালে ১৪ ডিসেম্বর ‘আলতাদীঘিকে জাতীয় উদ্যান’ হিসেবে ঘোষণা করেছেন।

এ ছাড়াও জাতীয় উদ্যানের পাশের ১৭ দশমিক ৩৪ হেক্টর বনভূমিকে ২০১৬ সালের ৯ জুন বাংলাদেশ বন অধিদপ্তর বিশেষ জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ এলাকা হিসেবে ঘোষণা করে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, শৈত্যপ্রবাহে শীতের আর্দ্রতা বাড়তে থাকায় দেশের গ-ি পেরিয়ে নানা দেশ থেকে দল বেঁধে এসেছে পরিযায়ী পাখিরা। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য রাজ সরালি, পাতি সরালি, বালিহাঁস, রাজহাঁস, মান্দারিন হাঁস, গোলপী রাজহাঁস, ঝুটি হাঁস, চকাচকি, চিনা হাঁস, কালোহাঁস, বুনো হাঁস, লালশির, নীলশীর, মানিকজোড়া, জলপিপি, ডুবোরী পাখি, হরিয়াল পাখি, রামঘুঘু, কাদাখোচা ও বিভিন্ন প্রজাতির গাংচিল।

প্রতি বছর শীতকালে বিভিন্ন দেশ থেকে আসা এসব পরিযায়ী পাখি আলতাদীঘি শালবনকে এক অপরূপ সাজে সাজিয়ে তোলে। সাধারণত মাঘ মাসের শেষ অবদি দেখা মিলে এদের বিচরণ। তবে অন্যান্য বছরের তুলনায় এবারে আলতাদীঘিতে পাখির সংখ্যা কম। আর শীতকালে শালবনের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে আসা ভ্রমণপিপাসুরা দল বেঁধে ঝাঁকে ঝাঁকে উড়ে আসা পাখির ছোটাছুটি আর দুরন্তপনায় মুগ্ধ হয়ে ঘরে ফিরেন। এসব পরিযায়ী পাখি নিধনে প্রশাসন কড়া নজরদারি রাখেন বলে জানান বন পরিদর্শকরা।

সুত্র : প্রতিদিনের সংবাদ

Print This Post

About Amena Fatema

Check Also

রাশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্য-বিনিয়োগ বাড়ানোর তাগিদ

বাংলাদেশ-রাশিয়া সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠকে দুই দেশের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়ানোর …

Leave a Reply