অনলাইন ডেস্ক :
বগুড়ায় বিষাক্ত মদ্যপানে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। রোববার রাতে শহরের পুরান বগুড়া, ভবেরবাজার, কাটনাপাড়া ও ফুলবাড়ি এলাকায় পৃথক ঘটনায় তাঁদের মৃত্যু হয়। তবে পুলিশ পাঁচজনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। এ ঘটনায় অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন চারজন। তবে এর মধ্যে একজনের খোঁজ মিলছে না।
মারা যাওয়া ছয়জন হলেন বগুড়া শহরের চারমাথা ভবেরবাজার এলাকার হোটেল ব্যবসায়ী আলমগীর হোসেন (৫৫), শহরের তিনমাথা পুরান বগুড়া এলাকার রাজমিস্ত্রি রমজান আলী (৬০), সুমন রবিদাস (৩৫), শহরের কাটনারপাড়া এলাকার শ্রমিক সাজু মিয়া (৫৫), বাবুর্চি মোজাহার আলী (৭০) ও ফুলবাড়ি এলাকার শ্রমিক পলাশ (৩৫)।
অসুস্থ হয়ে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি চারজন হলেন শহরের তিনমাথা এলাকার প্রেমনাথ রবিদাস (৫০), রামনাথ রবিদাস (৪৫), রবিনাথ রবিদাস (৬০) ও শিববাটি এলাকার রঞ্জু মিয়া (৪০)। হাসপাতালের নথিতে রবিনাথ রবিদাসকে ভর্তি দেখানো হলেও তাঁর হদিস মিলছে না বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের উপপরিচালক আবদুল ওয়াদুদ। তিনি আরও বলেন, বিষাক্ত মদ্যপানে অসুস্থ অবস্থায় রাতে চারজনকে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালের রেজিস্টারে রবিনাথ রবিদাসকে ভর্তি দেখানো হলেও তাঁর খোঁজ মিলছে না। অন্যরা মেডিসিন বিভাগে চিকিৎসাধীন। তাঁরা এখন শঙ্কামুক্ত।
বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ূন কবির প্রথম আলোকে বলেন, এখন পর্যন্ত পাঁচজনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। তবে ফুলবাড়ির জলিলের মৃত্যুর বিষয়টি এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শহরের কালীতলা এলাকায় রোববার রাতে রেক্টিফাইট স্পিরিট জাতীয় অ্যালকোহল পান করেন কাটনারপাড়া এলাকার সাজু, মোজাহার, রঞ্জু ও ফুলবাড়ি এলাকার আবদুল জলিল। রাতে বাড়ি ফিরে চারজনই অসুস্থ হয়ে পড়েন। এর মধ্যে রঞ্জু ছাড়া তিনজন নিজ নিজ বাড়িতে মারা যান।
বগুড়া পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তরুণ কুমার চক্রবর্তী বলেন, কাটনারপাড়া এলাকায় মদ পান করেন তিনজন। এর মধ্যে মোজাহার ও সাজু অসুস্থ হয়ে মারা যান। রঞ্জু হাসপাতালে ভর্তি আছেন। মারা যাওয়া ব্যক্তিদের পরিবার জানিয়েছে, শহরের একটি হোমিও দোকান থেকে অ্যালকোহল কিনে তাঁরা পান করেছিলেন।
ওসি হুমায়ূন কবির বলেন, শহরের তিনমাথা, পুরান বগুড়া এলাকায় একটি পারিবারিক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে একই পরিবারের রামনাথ, প্রেমনাথ, সুমন, রবিনাথ অসুস্থ হয়ে পড়েন। এর মধ্যে সুমনকে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে ভর্তি করা হলে রাত আড়াইটার দিকে মারা যান। অন্যরা শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। রমজান আর আলমগীর মারা গেছেন নিজেদের বাড়িতেই।
সুত্র : প্রথম আলো