Breaking News
এসআই ইফতেখায়ের মো. গাউসুল আজম।

বগুড়ায় স্ত্রীর মামলায় পুলিশ কর্মকর্তা কারাগারে

বগুড়ায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে স্ত্রীর দায়ের করা মামলায় পুলিশের এসআই ইফতেখায়ের মো. গাউসুল আজমকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। ১০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি, নির্যাতন করে হত্যাচেষ্টা ও গর্ভপাত ঘটানোর অভিযোগে তার বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন স্ত্রী।

এই মামলায় পুলিশের এই কর্মকর্তা বুধবার দুপুরে আদালতে জামিন প্রার্থনা করেন। আদালত তার জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

গাউসুল আজম নওগাঁ জেলায় রিজার্ভ অফিসে কর্মরত আছেন। তিনি জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার বাগজানা ইউনিয়নের চেঁচড়া গ্রামের শামছুল হক ও ফিরোজা বেগমের ছেলে।

বগুড়ায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে স্ত্রীর দায়ের করা মামলায় পুলিশের এসআই ইফতেখায়ের মো. গাউসুল আজমকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। ১০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি, নির্যাতন করে হত্যাচেষ্টা ও গর্ভপাত ঘটানোর অভিযোগে তার বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন স্ত্রী।

এই মামলায় পুলিশের এই কর্মকর্তা বুধবার দুপুরে আদালতে জামিন প্রার্থনা করেন। আদালত তার জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

গাউসুল আজম নওগাঁ জেলায় রিজার্ভ অফিসে কর্মরত আছেন। তিনি জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার বাগজানা ইউনিয়নের চেঁচড়া গ্রামের শামছুল হক ও ফিরোজা বেগমের ছেলে।

এসআই ইফতেখায়ের মো. গাউসুল আজম।

আদালত সূত্রে জানা যায়, বগুড়ার শেরপুর পৌর এলাকার টাউন কলোনির বাসিন্দা গৃহবধূ তমানিয়া আফরিন তার স্বামী পুলিশের এসআই ইফতেখায়ের গাউসুল আজমকে আসামি করে বগুড়ার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল-২ এর আদালতে ২০২০ সালের ২২ সেপ্টেম্বর মামলা করেন।

মামলায় অভিযোগ করা হয়, তিনি বগুড়া সরকারি মুজিবুর রহমান মহিলা কলেজের ইংরেজি মাস্টার্স শ্রেণিতে লেখাপড়া করেন। ফেসবুকের মাধ্যমে তার সাথে আসামির পরিচয় ও বন্ধুত্ব হয়। পরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।

২০২০ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি পুলিশ কর্মকর্তার সাথে তার রেজিস্ট্রি কাবিননামা মূলে বিয়ে হয়। তারা স্বামী-স্ত্রী হিসেবে দাম্পত্য জীবন অতিবাহিত করাকালে বাদী ২ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন। পরে বাদী জানতে পারেন যে, তার স্বামীর আগের স্ত্রী ও সন্তান আছে এবং আসামি বিষয়টি গোপন করে তাকে বিয়ে করেছেন।

এদিকে, গাউসুল আজম ওই বছরের ১৭ আগস্ট দুপুরে বাদীর বাবার বাড়ি শেরপুর টাউন কলোনির বাসায় যায় এবং যৌতুক হিসেবে ১০ লাখ টাকা দাবি করেন। কিন্তু তা না পেয়ে তার স্ত্রীকে কিলঘুষি মারাসহ শ্বাসরোধে হত্যার চেষ্টা করেন। এছাড়া তার তলপেটে লাথি মেরে গুরুতর আহত করায় গর্ভপাত হয়।

এ ঘটনায় স্বামী পুলিশের এসআই ইফতেখায়ের গাউসুল আজমকে আসামি করে বগুড়ার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল নং-২ এর আদালতে ২০২০ সালের ২২ সেপ্টেম্বর এই মামলা দায়ের করেন।

আইনজীবী অ্যাডভোকেট এস এম আবুল কালাম আজাদ জানান, অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তা গাউসুল আজম উচ্চ আদালত থেকে ৮ সপ্তাহের জামিন নিয়ে এসেছিলেন। ৮ সপ্তাহ পর তিনি বুধবার দুপুরে আবার নিম্ন আদালতে জামিন আবেদন করলে নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক নুর মোহাম্মাদ শাহরিয়ার কবীর তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

আদালত সূত্রে জানা যায়, বগুড়ার শেরপুর পৌর এলাকার টাউন কলোনির বাসিন্দা গৃহবধূ তমানিয়া আফরিন তার স্বামী পুলিশের এসআই ইফতেখায়ের গাউসুল আজমকে আসামি করে বগুড়ার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল-২ এর আদালতে ২০২০ সালের ২২ সেপ্টেম্বর মামলা করেন।

মামলায় অভিযোগ করা হয়, তিনি বগুড়া সরকারি মুজিবুর রহমান মহিলা কলেজের ইংরেজি মাস্টার্স শ্রেণিতে লেখাপড়া করেন। ফেসবুকের মাধ্যমে তার সাথে আসামির পরিচয় ও বন্ধুত্ব হয়। পরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।

২০২০ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি পুলিশ কর্মকর্তার সাথে তার রেজিস্ট্রি কাবিননামা মূলে বিয়ে হয়। তারা স্বামী-স্ত্রী হিসেবে দাম্পত্য জীবন অতিবাহিত করাকালে বাদী ২ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন। পরে বাদী জানতে পারেন যে, তার স্বামীর আগের স্ত্রী ও সন্তান আছে এবং আসামি বিষয়টি গোপন করে তাকে বিয়ে করেছেন।

এদিকে, গাউসুল আজম ওই বছরের ১৭ আগস্ট দুপুরে বাদীর বাবার বাড়ি শেরপুর টাউন কলোনির বাসায় যায় এবং যৌতুক হিসেবে ১০ লাখ টাকা দাবি করেন। কিন্তু তা না পেয়ে তার স্ত্রীকে কিলঘুষি মারাসহ শ্বাসরোধে হত্যার চেষ্টা করেন। এছাড়া তার তলপেটে লাথি মেরে গুরুতর আহত করায় গর্ভপাত হয়।

এ ঘটনায় স্বামী পুলিশের এসআই ইফতেখায়ের গাউসুল আজমকে আসামি করে বগুড়ার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল নং-২ এর আদালতে ২০২০ সালের ২২ সেপ্টেম্বর এই মামলা দায়ের করেন।

আইনজীবী অ্যাডভোকেট এস এম আবুল কালাম আজাদ জানান, অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তা গাউসুল আজম উচ্চ আদালত থেকে ৮ সপ্তাহের জামিন নিয়ে এসেছিলেন। ৮ সপ্তাহ পর তিনি বুধবার দুপুরে আবার নিম্ন আদালতে জামিন আবেদন করলে নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক নুর মোহাম্মাদ শাহরিয়ার কবীর তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

Print This Post

About Amena Fatema

Check Also

রাশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্য-বিনিয়োগ বাড়ানোর তাগিদ

বাংলাদেশ-রাশিয়া সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠকে দুই দেশের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়ানোর …

Leave a Reply