অনলাইন ডেস্ক:
বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ রাব্বী (২২) হত্যা মামলায় নিহতের বাবার জন্ডিসজনিত অসুস্থতার জন্য সাক্ষ্য গ্রহণ পিছিয়ে আগামী ৫ অক্টোবর থেকে শুরুর নির্দেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। আজ রোববার মামলাটিতে প্রথম সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য ছিল। এদিন বাদী নিহত আবরারের পিতা মো. বরকত উল্লাহ ট্রাইব্যুনালে হাজির হন।
বেলা ১২টার দিকে শুনানি শুরু হয়। রাষ্ট্রপক্ষে প্রসিকিউটর মোশাররফ হোসেন কাজল ও মো. আবু আব্দুল্লাহ ভূঁইয়া সময়ের আবেদনে বলা হয়, বাদী সম্প্রতি জন্ডিসে আক্রান্ত হয়েছেন। যদিও তিনি আজ (রোববার) ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত আছেন। কিন্তু চিকিৎসকরা তাকে বিশ্রামে থাকতে বলেছেন। তাই তার সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য সময় প্রয়োজন।
ঢাকার এক নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান শুনানি শেষে সময় আবেদন মঞ্জুর করে আগামী ৫ অক্টোবর থেকে ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত সাক্ষ্য গ্রহণের নতুন দিন ধার্য করেন।
এর আগে গত ১৫ সেপ্টেম্বর বিচারক আসামিদের অব্যাহতির আবেদন নামঞ্জুর করে চার্জগঠন করে ২০ সেপ্টেম্বর থেকে ১ অক্টোবর পর্যন্ত সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য করেছিলেন।
রোববার শুনানিকালে কারাগারে থাকা ২২ আসামি বুয়েট ছাত্রলীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক মো. অনিক সরকার, উপ-সমাজসেবা বিষয়ক সম্পাদক ইফতি মোশাররেফ সকাল, ক্রীড়া সম্পাদক মো. মেফতাহুল ইসলাম জিয়ন, সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান রবিন, মো. মনিরুজ্জামান মনির, খন্দকার তাবাখখারুল ইসলাম তানভীর, শিক্ষার্থী মো. মুজাহিদুর রহমান ও এএসএম নাজমুস সাদাত, বুয়েট ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাসেল, আইন বিষয়ক উপ-সম্পাদক অমিত সাহা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুহতামিম ফুয়াদ, কর্মী মুনতাসির আল জেমি, গ্রন্থ ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক ইসাতিয়াক আহম্মেদ মুন্না, শিক্ষার্থী আবরারের রুমমেট মিজানুর রহমান, শিক্ষার্থী শাসছুল আরেফিন রাফাত, বুয়েটের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ১৬তম ব্যাচের তৃতীয় বর্ষে ছাত্র আকাশ হোসেন, শিক্ষার্থী মো. মাজেদুর রহমান মাজেদ, শামীম বিল্লাহ, হোসেন মোহাম্মাদ তোহা, মুয়াজ ওরফে আবু হুরায়রা, বুয়েটের মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারং বিভাগের ১৭তম ব্যাচের ছাত্র মোর্শেদ অমত্য ইসলাম ও এস এম মাহমুদ সেতুকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।
মামলায় বুয়েটের ইলেকট্রিক অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স বভাগের ১৭তম ব্যাচের ছাত্র মুহাম্মাদ মোর্শেদ-উজ-জামান মন্ডল ওরফে জিসান (২২), সিভিল ইঞ্জিনিয়ারং বিভাগের ১৭তম ব্যাচের ছাত্র এহতেশামুল রাব্বি ওরফে তানিম (২০) ও কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারং বিভাগের ১৬তম ব্যাচের ছাত্র মুজতবা রাফিদ (২১) পলাতক।
আবরার বুয়েটের তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের (১৭তম ব্যাচ) ছাত্র ছিলেন। তিনি থাকতেন বুয়েটের শেরেবাংলা হলের নিচতলার ১০১১ নম্বর কক্ষে। গত বছর ৬ অক্টোবর একই হলের ২০১১ নম্বর কক্ষে তাকে নির্যাতন করে তাকে হত্যা করা হয়। রাত ৩টার দিকে হল থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
হত্যাকণ্ডের পর তার বাবা বরকত উল্লাহ ১৯ জনকে আসামি করে ওই বছর ৭ অক্টোবর চকবাজার থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। মামলার পর ওই বছর ১৩ নভেম্বর ডিবি পুলিশের পরিদর্শক (নিরস্ত্র) মো. ওয়াহিদুজ্জামান ২৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।