Related Articles
অনলাইন ডেস্ক :
‘তরফদী সাদী’ মিঠাপুকুরের যমুনেশ্বরী নদীর বালুমহাল। সেখান থেকে সরকারিভাবে বালু উত্তোলনের অনুমতি নিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে নদীর বালুয়া রঘুনাথপুর থেকে।
এভাবে চলছে সেখানে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের মহাযজ্ঞ। ফলে ক্ষতিগ্রস্ত স্থানীয়রা প্রশাসনকে একাধিকবার অভিযোগ জানালেও কোনো কাজ হয়নি।
একটি রাজনৈতিক প্রভাবশালী চক্রের ছত্রছায়ায় শুধু যমুনেশ্বরী নদী থেকে নয় ব্যক্তি মালিকানাধীন সম্পত্তি জবর দখল করেও বালু উত্তোলনের গুরুতর অভিযোগ পাওয়া গেছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিদের যোগসাজশে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে রাজনৈতিক প্রভাবশালী চক্র। ইতোপূর্বে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে রঘুনাথপুরে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধ করে দিয়েছিলেন। কিন্তু আবারও নতুন করে ওই বালু উত্তোলনের মহাযজ্ঞ শুরু হয়েছে।
সরেজমিনে বালুয়া রঘুনাথপুর অবৈধ বালুর পয়েন্টে গিয়ে দেখা গেছে, ৩টি এক্সকেভেটর ও ১৫টি ড্রাম ট্রাক দিয়ে বালু উত্তোলনের কাজ করা হচ্ছে। নদীগর্ভে জমে থাকা বালু এক্সকেভেটর দিয়ে এক জায়গায় জমা করে সেগুলো ড্রাম ট্রাকে করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করার ফলে অনেকের জমিতে ভাঙন শুরু হয়েছে। নদীর গতিপথও পরিবর্তনের আশঙ্ক্ষা দেখা দিয়েছে। এ অবস্থায় নদী পারের মানুষেরা ক্ষুব্ধ হলেও প্রশাসনের টনক নড়ছে না। অপরিকল্পিতভাবে বালু উত্তোলন বন্ধ না হলে বিপুল পরিমাণ আবাদি জমি নদী ভাঙনের শিকার হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
অপরিকল্পিতভাবে বালু উত্তোলনের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত স্থানীয় বাসিন্দা সৈয়দ আলী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, নদীপারে আমার পৈত্রিক জমি রয়েছে। প্রভাবশালী লোকজন নদী ও আমার ওই জমি হতে বালু উত্তোলন করছে।
আমরা গবির-অসহায় মানুষ, তাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা সাহস পাচ্ছি না। নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় কয়েকজন বলেন, উপজেলা আ.লীগের প্রভাবশালী দু’জন মিঠাপুকুর উপজেলা আ.লীগের সাংগঠনিক সস্পাদক আনোয়ার সাদাৎ লিমন, তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক মেসবাহুর রহমান প্রধান ওই বালু উত্তোলন করছেন বলে অভিযোগ।
এ সম্পর্কে জানতে চাইলে তারা দু’জনেই মুঠোফোনে জানান, তারা সরকার নির্ধারিত স্থান থেকেই বালু উত্তোলন করছেন। প্রকৃতপক্ষে যারা এমন অভিযোগ করছেন তারা ঠিক বলছেন না। এটি আমাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার ছাড়া কিছু নয়। সরকারি নিয়ম মেনেই বালু উত্তোলন করা হচ্ছে।
স্থানীয়ভাবে আলতাফ হোসেন আলতু, আরিফুল ইসলাম, টিক্কা মিয়া, ছাত্তার হোসেন, সাহেব আলী, আব্দুর রাজ্জাক রাজা ও ফুল মিয়াসহ আরও বেশ কয়েকজন স্থানীয় প্রভাবশালী ওই বালু উত্তোলনের সাথে জড়িত।
তবে তারা সবাই তাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, কারা বালু উত্তোলন করছে তা জানা নেই। তবে তারা এ ঘটনার সাথে জড়িত নন।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নূর-ই আলম সিদ্দিকী বলেন, রঘুনাথপুর অবৈধ বালুর পয়েন্টি ভ্রাম্যমাণ আদালত চালিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। তবে আবার অবৈধ বালু উত্তোলনের বিষয়টি আমার জানা নেই।
সুত্র : যুগান্তর