Breaking News
টঙ্গীর কবুতর হাট। ছবি : আমাদের সময়

শান্তির প্রতীক পায়রার হাটে অশান্তির খাজনা

অনলাইন ডেস্ক :

গাজীপুর সিটি করপোরেশনের অন্তর্গত টঙ্গীতে বসে দেশের অন্যতম বৃহৎ পায়রা বা কবুতরের হাট। শান্তির প্রতীক পায়রার শতবর্ষী এ হাটে অশান্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে অতিরিক্ত খাজনা। সিটি করপোরেশন থেকে শতকরা ৬ টাকা খাজনা নির্ধারণ করা হলেও এ হাটে খাজনা নেওয়া হচ্ছে ১৫ টাকা হারে! স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. গিয়াস উদ্দিন সরকারের কাছের লোক পরিচয় দিয়ে নিয়ম বর্হিভূতভাবে এ খাজনা আদায় করছেন লিটন নামের এক লোক ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা।

গতকাল রোববার হাটের দিন টঙ্গীর হোন্ডা রোডের কবুতর হাটে খোঁজখবর নিয়ে অভিযোগের সত্যতা পেয়েছেন এ প্রতিবেদক। হাটে কবুতর বেচাকেনা করা ১০ থেকে ১২ জন অভিযোগ করেছেন তারা শতকরা ১৫ টাকা খাজনা দিয়েছেন। মো. রফিক নামে খাজনা আদায়কারী এক যুবক শতকরা ১০ থেকে ১২ টাকা খাজনা আদায় করার কথা স্বীকার করেন।

টাঙ্গাইল থেকে কবুতর বেচাকেনা করতে এসেছেন মো. সোলাইমান নামে একজন কবুতর ব্যবসায়ী। তিনটি শিকের খাঁচায় দেশি জাতের কবুতর এনেছেন। দুই জোড়া কবুতর ৪০০ টাকায় বিক্রি করেছেন। এ বিক্রয় বাবদ তিনি ৬০ টাকা খাজনা পরিশোধ করেছেন। তার অভিযোগ, এই হাটে দেশের সব থেকে বেশি খাজনা নেওয়া হচ্ছে। টাঙ্গাইল করটিয়া কবুতরের হাটে সারাদিন বিক্রি করলেও মাত্র ৩০ টাকা খাজনা নেওয়া হয়।

একইভাবে ৭০০ টাকার কবুতর বিক্রি করে ১০০ টাকা খাজনা পরিশোধ করেছেন চান্দরা থেকে কবুতর বিক্রি করতে আসা মোস্তাকিন নামের এক বিক্রেতা।

মহানগরীর হাতিয়াবো এলাকার কামাল হোসেন ৩৭ বছর যাবৎ টঙ্গী হাটে কবুতর বেচাকেনা করেন। তার অভিযোগ, ‘খাজনা নিয়ে এমন অশান্তি আর কখনো হয়নি। যখন যা খুশি তাই খাজনা নিচ্ছে।’ এভাবে টঙ্গীর মনসুর আলী, বোর্ডবাজারের কামরুল হাসান, পাখির টেকের সাকিবসহ প্রত্যেকের একই অভিযোগ।

হোন্ডা রোডের প্রবেশমুখে কাউন্সিলর কার্যালয়ে কথা হয় উচ্চহারে খাজনা আদায়কারী লিটনের সঙ্গে। প্রথমে নিজের পরিচয় দিতে গড়িমসি করেন তিনি। একপর্যায়ে বলেন, ‘আমি কাউন্সিলরের কাছের লোক।’ অতিরিক্ত খাজনা আদায় করার কথা অস্বীকার করে তিনি বলেন, ‘নিয়ম অনুযায়ী শতকরা ৬ টাকা খাজনা আদায় করা হচ্ছে।’

এ ব্যপারে জানতে চাওয়া হলে লিটন নামে ওই ব্যক্তিকে চেনেন না বলে জানিয়ে নগরীর ৫৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. গিয়াস উদ্দিন সরকার দৈনিক আমাদের সময়কে বলেন, ‘হাটের খাজনা সিটি করপোরশেনের পক্ষ থেকে আদায় করা হয়।’ তিনি বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখবেন বলেও জানান।

সুত্র : আমাদের সময়

 

Print This Post

About Amena Fatema

Check Also

বিএনপি নেতা কফিল  তাণ্ডবে উত্তরা

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজধানীর উত্তরা নিয়ে বিএনপির যেন অস্থিরতার শেষ নেই। একের পর এক বহিষ্কার, …

Leave a Reply