অনলাইন ডেস্ক :
তুচ্ছ ঘটনা কেন্দ্র করে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলার মজলিশ গ্রামে রোববার দুপুরে এক পরিবহন ব্যবসায়ীকে সন্ত্রাসীরা পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
মুমূর্ষু অবস্থায় ওই পরিবহন ব্যবসায়ীকে উদ্ধারের পর সোনারগাঁও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় রোববার রাতে সোনারগাঁও থানায় একটি অভিযোগ করা হয়েছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, উপজেলার চিলারবাগ গ্রামে বসবাসরত পরিবহন ব্যবসায়ী কামরুল ইসলামের শিশুসন্তান সালমান ফারসিকে মজলিশ গ্রামের নাসির মিয়ার মেয়ে (অজ্ঞাত) তুচ্ছ ঘটনার জের ধরে মারধর করে।
এ ঘটনার বিচার দাবি করতে পরিবহন ব্যবসায়ী কামরুল ইসলাম মজলিশ গ্রামে নাসির মিয়ার বাড়িতে যান। সেখানে নাসির মিয়ার স্ত্রী বিষয়টি মীমাংসা করার আশ্বাস দিলে কামরুল ইসলাম ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।
পরে কামরুল ইসলাম বাড়ি মজলিশ এলাকায় তার পরিবহন ব্যবসার খোঁজখবর নিতে গেলে সেখানে আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা নাসিরের নেতৃত্বে পারভেজ, রানা, রুহুলসহ ১০-১২ জনের একটি সন্ত্রাসী বাহিনী পরিকল্পিতভাবে কামরুল ইসলামের ওপর হামলা চালায়।
এ সময় হামলাকারীরা তাকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যাচেষ্টা চালায়। পরে এলাকাবাসী মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে উদ্ধারের পর সোনারগাঁও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করে।
আহত পরিবহন ব্যবসায়ী কামরুল ইসলামের পরিবার জানায়, তুচ্ছ ঘটনার জের ধরে সম্পূর্ণ পরিকল্পিতভাবে কামরুলকে নাসিরের নেতৃত্বে পারভেজ, রানা, রুহুলসহ ১০-১২ জনের একটি বাহিনী কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যার চেষ্টা চালায়।
এ সময় হামলাকারীরা কামরুল ইসলামের কাছ থেকে নগদ টাকা-পয়সা, মোবাইল সেট, ঘড়ি ও স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নেয়। মাথায় গুরুতর আঘাত পাওয়ায় বর্তমানে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। হামলাকারীদের মধ্যে দুজন মিন্টু হত্যা মামলার আসামি। তাদের ভয়ে এলাকায় কেউ মুখ খুলতে সাহস পায় না।
বর্তমানে আমরা পরিবার-পরিজন নিয়ে চরম আতঙ্ক ও উদ্বেগের মধ্যে দিন কাটাচ্ছি। হামলাকারীরা থানায় মামলা না করার জন্য একের পর এক হুমকি দিয়ে যাচ্ছে।
সোনারগাঁও থানার ওসি মো. রফিকুল ইসলাম জানান, এ ব্যাপারে থানায় একটি অভিযোগ গ্রহণ করা হয়েছে। অভিযোগটি তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সুত্র : যুগান্তর