অনলাইন ডেস্ক :
কুমিল্লা বুড়িচং উপজেলায় নিজের ঘরে স্ত্রী ও শাশুড়িকে গলা কেটে হত্যার অভিযোগ উঠেছে লোকমান (৩০) নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। আজ মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে উপজেলার মোকাম ইউনিয়নের হালগাও গ্রামে হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। স্থানীয়দের সহায়তায় হত্যাকারী লোকমানকে আটক করেছে বুড়িচং থানা পুলিশ।
লোকমান হালগাও গ্রামের মৃত আলম মিয়ার ছেলে। প্রাথমিকভাবে হত্যাকাণ্ডের সঠিক কোনো কারণ জানা যায়নি। প্রায় আট-নয় বছর আগে সদর উপজেলার কালির বল্লাপপুর গ্রামের শাহ আলমের মেয়ে ফারজানার সঙ্গে বিয়ে হয় লোকমানের। দাম্পত্য জীবনে তাদের এক মেয়ে ও এক ছেলে রয়েছে।
স্থানীয় প্রতিবেশী ও পুলিশ জানায়, আজ বিকেল ৫টার দিকে শাশুড়ি বানু বিবিকে (৫৫) ফোন করে নিজের বাড়িতে আনেন লোকমান। স্ত্রী ফারজানার (২৫) বিরুদ্ধে পরকীয়ার অভিযোগ করলে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। এর একপর্যায়ে শাশুড়ি ও স্ত্রীকে নিজ ঘরেই গলা কেটে হত্যা করেন লোকমান।
প্রতিবেশীরা জানায়, দুজনকে হত্যার পর হাতে ছুরি নিয়েই মসজিদে নামাজ পড়তে যায় লোকমান। এসময় তাকে অস্বাভাবিক দেখায় ভয়ে কেউ কিছু জিজ্ঞাসা করার সাহস পায়নি বলে জানায় এক প্রত্যক্ষদর্শী। নামাজ শেষে ঘরের দরজায় ছুরি হাতে নিয়েই বসে থাকে লোকমান। পরে এক প্রতিবেশী জানালা দিয়ে রক্তাক্ত লাশ দেখতে পেয়ে বুড়িচং থানা পুলিশে খবর দেয়।
তৎক্ষণিক দেবপুর ফাঁড়ি পুলিশ ও বুড়িচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাম্মেল হকসহ অন্যান্য সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে লোকমানকে আটক করে। এসময় তার পাশে পড়ে থাকা ছুরিটিও উদ্ধার করা হয়।
মোকাম ইউনিয়ন পরিষদের ৬ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য রফিক মিয়া বলেন, ‘বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে ফোনে খবর পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশকে অবহিত করি এবং ঘটনাস্থলে যাই। মাদকাসক্ত লোকমান ঠিক কী কারণে হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে সে বিষয়ে নিশ্চিত জানি না।’
আজ সন্ধ্যায় বুড়িচং থানার ওসি মোজাম্মেল হক বলেন, ‘লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন ও উদ্ধার প্রক্রিয়া চলছে। ঘটনার বিষয়ে পরে জানানো যাবে।’
সুত্র : আমাদের সময়