অনলাইন ডেস্ক :
রেহেনা আক্তার (১৯) ভালোবেসে সুখের সংসার গড়তে স্বপ্ন দেখেছিলেন। এজন্য সুনামগঞ্জ জেলার বিশ্বম্ভপুর কাছিঘাটা গ্রামের আব্দুল মালেকের ছেলে জুয়েল আহমেদের সঙ্গে (২২) ঘর ছেড়ে পালিয়ে এসেছিলেন।
রেহেনা আক্তার দেড় বছর চাকরি করেন নারায়ণগঞ্জের একটি গার্মেন্টসে। সম্প্রতি স্বামী জুয়েলের মিথ্যা প্রলোভনে পড়ে চলে আসেন গাজীপুরে। এখানেই রেহেনাকে হত্যার পর লাশ তিন টুকরা করে ময়লার স্তূপে ফেলে দেন জুয়েল।
রেহেনা আক্তার বিশ্বম্ভপুর থানার জুয়েল আহমেদের পার্শ্ববর্তী মেরুয়া গ্রামের আব্দুল মালেকের মেয়ে। সম্পর্কে তারা একে-অপরের আত্মীয়।
রোববার দুপুরে গাজীপুর সদরের মনিপুর আরাবিয়া গার্মেন্টসের পেছনে জাকিরের ভাড়া বাসার সেপটিক ট্যাংকের পাশে ময়লার স্তূপ থেকে বস্তাবন্দি অবস্থায় রেহেনার তিন টুকরো লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, লাশের টুকরাগুলো বাসার সেপটিক ট্যাংকির সঙ্গে ময়লার স্তূপে বস্তাবন্দি অবস্থায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিল। পরে ঘাতক স্বামী জুয়েলের স্বীকারোক্তি মোতাবেক লাশের টুকরোগুলো উদ্ধার করে পুলিশ। টুকরাগুলো ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
রেহেনার স্বামী জুয়েল জানান, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার রাতে রেহেনাকে হত্যা করেন তিনি। পরে শয়নকক্ষে লাশটি দা দিয়ে তিন টুকরা করেন। রাতের আঁধারে নিরাপদ স্থান মনে করে টুকরাগুলো ময়লার স্তূপে ফেলে দেন।
এ ব্যাপারে জয়দেবপুর থানার ওসি মামুন আল রশিদ জানান,ময়লার স্তূপের পাশে একটি বস্তা দেখতে পান জুয়েলের প্রতিবেশী বাপ্পী হোসাইন নামে এক যুবক। পরে জুয়েলের আচরণে পরিবর্তন দেখে সন্দেহ হলে তিনি পুলিশকে জানান। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রথমে হাত-পা ও মাথাসহ লাশ উদ্ধার করে। পরে সেটি খুলে ওই নারীর কাটা দুই হাত, দুই পা ও মাথা উদ্ধার করা হয়।
সুত্র : যুগান্তর