Breaking News

হবিগঞ্জে চিকিৎসার অভাবে নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ

 

অনলাইন ডেস্ক:

হবিগঞ্জে দি জাপান ডায়াগনস্টিক সেন্টার অ্যান্ড হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের
অবহেলা ও ডাক্তারের অভাবে সঠিক চিকিৎসা না পেয়ে নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। এছাড়া হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে শিশু বদলেরও অভিযোগ উঠেছে। গতকাল ভোর রাতে শিশুটির অবস্থা খারাপ হলেও ছিলেন না কোনো চিকিৎসক-নার্স। এ অবস্থায় অভিভাবকরা শিশুটিকে সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যেতে চাইলে ব্যবসায়িক ক্ষতির কথা ভেবে মেইন গেট লাগিয়ে রোগীকে আটকে রাখা হয় কয়েক ঘণ্টা। এতে নবজাতকটি বিনা চিকিৎসায় মারা যায় বলে অভিযোগ করেন পরিবারের সদস্যরা।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, চুনারুঘাট উপজেলার পূর্ব পাকুরিয়া গ্রামের মো. ওয়াসিম মিয়া পেশায় একজন গাড়িচালক। গর্ভবতী স্ত্রী সুমি আক্তারকে নিয়ে সিজার করানোর জন্য বৃহস্পতিবার হবিগঞ্জ শহরে আসেন। দালালদের খপ্পরে পড়ে যান কোর্ট স্টেশন এলাকার দি জাপান ডায়াগনস্টিক সেন্টার এন্ড হাসপাতালে।

এটিই ছিল তার প্রথম সন্তান। রাত ২টায় তার সিজার করানো হয়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ প্রথমে তাকে একটি ছেলে সন্তান এনে দেয়। কিছু সময় পরই এনে দেয় একটি মেয়ে সন্তান আর ছেলে সন্তানটি নিয়ে যায়। এতে তারা প্রতিবাদ করলে জানানো হয় ভুলে সন্তানের বদল হয়েছিল। পরে মেয়ে সন্তানটি অসুস্থ হয়ে পড়লে স্বজনরা ডাক্তারকে ডাকতে বলেন। কিন্তু কোনো কর্তব্যরত ডাক্তার না থাকায় কর্তৃপক্ষ তাতে কর্ণপাত করেননি। এতে ধীরে ধীরে খারাপ হতে থাকে নবজাতকের শারীরিক অবস্থা। বাধ্য হয়ে পরিবারের সদস্যরা হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিতে চাইলে তারা গেটও খুলে দেয়নি। প্রায় দুই ঘণ্টা পর গেট খুললেও ততক্ষণে শিশুটি মারা যায়। মৃত নবজাতকের বাবা ওয়াশিম মিয়া জানান, এটি ছিল তার প্রথম সন্তান। হাসপাতালে ভর্তির পরই তারা আমার কাছ থেকে ২৯ হাজার টাকা নেয়। প্রথমে তারা আমাকে একটি ছেলে সন্তান এনে দেয়। হাসপাতালের স্টাফরা এজন্য আমার কাছ থেকে ৭শ’ টাকা বকশিসও চেয়ে নেয়। কিন্তু পড়ে সন্তান বদল হয়ে গেছে বলে একটি মেয়ে সস্তানকে এনে দেয়। কিন্তু মেয়েটি যখন মারাত্মক অসুস্থ আমরা বারবার বলার পরও কোনো ডাক্তার ডাকেননি তারা। এমনকি গেট তালাবদ্ধ রেখে আমাদেরকে সরকারি হাসপাতালেও যেতে দেয়নি। হাসাপাতালের অবহেলায়ই আমার সন্তানের মৃত্যু হয়েছে। আমি এর বিচার চাই।
হবিগঞ্জ দি জাপান ডায়াগনস্টিক সেন্টার এন্ড হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আরিফুল ইসলাম জানান, আমাদের হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কোনো ধরনের অবহেলা ছিল না। মেয়েটির জন্মের পরই অবস্থা খারাপ ছিল। তাই চেষ্টা করেও বাঁচানো যায়নি। এ ব্যাপারে হবিগঞ্জের ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডা. মুখলেছুর রহমান উজ্জল জানান, আমাদের কাছে এ ব্যাপারে এখনো কোনো অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সুত্র: মানবজমিন

Print This Post

About Amena Fatema

Check Also

রাশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্য-বিনিয়োগ বাড়ানোর তাগিদ

বাংলাদেশ-রাশিয়া সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠকে দুই দেশের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়ানোর …

Leave a Reply